যুক্তরাজ্যে ‘ওমিক্রন ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা, প্রয়োগ হবে বুস্টার ডোজ

যুক্তরাজ্যে ওমিক্রন ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্থানীয় সময় রবিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক টেলিভিশন বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কারোরই কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে, ওমিক্রনের জোরালো ঢেউ আসছে।’ আর তা মোকাবিলায় এই সপ্তাহ থেকে ইংল্যান্ডের ১৮ বছরের বেশি বয়সের সবাইকেই বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরু করা হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ককে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা একমাস এগিয়ে আনা হয়েছে। বুস্টার ডোজ প্রয়োগে জোর দিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্য কয়েকটি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

রবিবার বরিস জনসনের বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাজ্যের করোনা সতর্কতা বাড়িয়ে লেভেল চার এ নেওয়া হয়। নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় এই সতর্কতা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দেশটিতে এই মাত্রার সতর্কতা ছিলো মে মাসে।

বরিস জনসন বলেন, আমি ভীত যে, নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আমরা আমাদের লড়াইয়ে একটি জরুরি অবস্থার মোকাবিলা করছি। তিনি বলেন, ‘এটা এখন স্পষ্ট যে, দুই ডোজ টিকা সাধারণভাবে আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার সুরক্ষা নিশ্চিতে যথেষ্ট নয়। কিন্তু ভালো খবর হলো আমাদের বিজ্ঞানীরা আত্মবিশ্বাসী যে, তৃতীয় আরেকটি বা একটি বুস্টার ডোজের মাধ্যমে আমাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা আনা যেতে পারে।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের বিজ্ঞানী বলতে পারছেন না যে, ওমিক্রন কম তীব্র। আর যদি সেটা সত্যি প্রমাণিত হয়ও, আমরা ইতোমধ্যে জানি এটা এতো বেশি সংক্রামক যে, বুস্টারহীন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ওমিক্রন ঢেউ শুরু হলে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকির মাত্রা এতোটা বাড়তে পারে যে, তাতে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা (এনএইচএস) উপচে পড়তে পারে এবং আরও বহু মানুষের দুঃখজনক মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।’

বুস্টার ডোজ প্রয়োগের নতুন যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে ইংল্যান্ডে ১৮ বছর বয়স হলে এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তিন মাস পার হলে যে কেউই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। স্কটল্যান্ডও একই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে।

লক্ষ্য অর্জনে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যেসব সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন সেগেুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তার জন্য সামরিক বাহিনীর ৪২টি টিম মোতায়েন করা হবে, ভ্যাকসিন প্রয়োগের বাড়তি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, টিকা কেন্দ্র খোলা রাখার সময় বাড়ানো হবে, হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।